ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৩ নাবিকের মুক্তিপণ ৫৫ কোটি টাকা?

৩১ দিন জিম্মি দশায় থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) মুক্তি পাওয়ার পর এখন আলোচনা চলছে জিম্মি নাবিকরা কীভাবে দেশে ফিরবেন। কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়েছে তাদের।

এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ জানিয়েছে, সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে জাহাজটি রওনা হয়েছে আরব আমিরাতের দিকে। দুবাই বন্দরে গিয়ে নাবিকরা সাইন অফ করবেন। এরপর সেখান থেকে বিমানযোগে ফিরে আসবেন দেশে। তবে মুক্তিপণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মালিকপক্ষ।

তবে সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, মুক্তিপণের পরিমাণ ৫ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা! সেখানকার পান্টল্যান্ড মিরর নামের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাহাজটি জিম্মি দশা থেকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। শিগগির তারা দেশে ফিরবেন। ঈদ মোবারক। শুভ নববর্ষ।’

এদিকে নাবিকদের মুক্তির ঘটনায় মালিকপক্ষের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মার্চেন্ট মেরিনার ক্যাপ্টেন আতিক ইউ খান। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ… রেকর্ড ৩১ দিন সময়ে মুক্তিপণ নির্ধারণ করে জলদস্যুদের হাতে সেই অংকের ডলার পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত হলে মধ্যরাতের কিছু পরে জাহাজ ত্যাগ করেছে জলদস্যুরা৷ তবে কোম্পানির পক্ষ হতে প্রেস ব্রিফিং করা পর্যন্ত নাবিকরা কাউকে জানাতে পারেনি। নিউজটা তাই মিডিয়ায় এসেছে ভোর ৪টার পরে।

তিনি আরও লেখেন, এমভি আবদুল্লাহ ইতিমধ্যে রওয়ানা হয়েছে দুবাইয়ের দিকে। ইনশাআল্লাহ এক সপ্তাহ পর দুবাই পৌঁছালে সব নাবিককে চট্টগ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। দুবাইতেই নতুন নাবিকরা জাহাজের দায়িত্ব গ্রহণ করবে৷ সোমালিয়ান ইন্টারপ্রেটারের সঙ্গে কথোপকথনের পর নাবিকরা আমাকে জানিয়েছিল, জলদস্যুদের এই মুক্তিপণ সাধারণত তিন ভাগ হয়।

৫০% পায় যারা ঝুঁকি নিয়ে জাহাজটা হাইজ্যাক করে তারা। ৪০% পায় যারা এই সম্পূর্ণ অপারেশনের ব্যয়ভার বহন করে অর্থাৎ বিনিয়োগ করে আর অস্ত্র সরবরাহ করে। এবং ১০% ভাগাভাগি করে অন্যান্যরা৷ অর্থাৎ যারা লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়, জাহাজ পাহারা দেয়, ইন্টারপ্রেটার… প্রমুখ। ধন্যবাদ জানাচ্ছি, জাহাজ মালিক এসআর শিপিংকে (KSRM), দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নাবিকদের দ্রুততম সময়ে মুক্ত করার জন্য।

ট্যাগস :

২৩ নাবিকের মুক্তিপণ ৫৫ কোটি টাকা?

আপডেট সময় : ১২:২১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

৩১ দিন জিম্মি দশায় থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) মুক্তি পাওয়ার পর এখন আলোচনা চলছে জিম্মি নাবিকরা কীভাবে দেশে ফিরবেন। কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়েছে তাদের।

এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ জানিয়েছে, সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে জাহাজটি রওনা হয়েছে আরব আমিরাতের দিকে। দুবাই বন্দরে গিয়ে নাবিকরা সাইন অফ করবেন। এরপর সেখান থেকে বিমানযোগে ফিরে আসবেন দেশে। তবে মুক্তিপণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মালিকপক্ষ।

তবে সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, মুক্তিপণের পরিমাণ ৫ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা! সেখানকার পান্টল্যান্ড মিরর নামের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাহাজটি জিম্মি দশা থেকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। শিগগির তারা দেশে ফিরবেন। ঈদ মোবারক। শুভ নববর্ষ।’

এদিকে নাবিকদের মুক্তির ঘটনায় মালিকপক্ষের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মার্চেন্ট মেরিনার ক্যাপ্টেন আতিক ইউ খান। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ… রেকর্ড ৩১ দিন সময়ে মুক্তিপণ নির্ধারণ করে জলদস্যুদের হাতে সেই অংকের ডলার পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত হলে মধ্যরাতের কিছু পরে জাহাজ ত্যাগ করেছে জলদস্যুরা৷ তবে কোম্পানির পক্ষ হতে প্রেস ব্রিফিং করা পর্যন্ত নাবিকরা কাউকে জানাতে পারেনি। নিউজটা তাই মিডিয়ায় এসেছে ভোর ৪টার পরে।

তিনি আরও লেখেন, এমভি আবদুল্লাহ ইতিমধ্যে রওয়ানা হয়েছে দুবাইয়ের দিকে। ইনশাআল্লাহ এক সপ্তাহ পর দুবাই পৌঁছালে সব নাবিককে চট্টগ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। দুবাইতেই নতুন নাবিকরা জাহাজের দায়িত্ব গ্রহণ করবে৷ সোমালিয়ান ইন্টারপ্রেটারের সঙ্গে কথোপকথনের পর নাবিকরা আমাকে জানিয়েছিল, জলদস্যুদের এই মুক্তিপণ সাধারণত তিন ভাগ হয়।

৫০% পায় যারা ঝুঁকি নিয়ে জাহাজটা হাইজ্যাক করে তারা। ৪০% পায় যারা এই সম্পূর্ণ অপারেশনের ব্যয়ভার বহন করে অর্থাৎ বিনিয়োগ করে আর অস্ত্র সরবরাহ করে। এবং ১০% ভাগাভাগি করে অন্যান্যরা৷ অর্থাৎ যারা লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়, জাহাজ পাহারা দেয়, ইন্টারপ্রেটার… প্রমুখ। ধন্যবাদ জানাচ্ছি, জাহাজ মালিক এসআর শিপিংকে (KSRM), দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নাবিকদের দ্রুততম সময়ে মুক্ত করার জন্য।