ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিপণ নিয়ে তীরে এসেই গ্রেপ্তার ৮ জলদস্যু

মুক্তিপণের বিনিময়ে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ছেড়ে যাওয়ার পরপরই আট সোমালি জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমালিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির অনলাইন সংবাদ মাধ্যম গ্যারোই অনলাইন।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জলদস্যুদের সঙ্গে আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পান্টল্যান্ড পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গ্যারোই অনলাইন বলছে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে আসার পরপরই আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে কিনা, সে তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুন্টল্যান্ড পুলিশ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে বলেন, এভাবে মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ উদ্ধার চলতে থাকলে জলদস্যুরা আরও উৎসাহিত হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সোমালি উপকূলে জলদস্যু আক্রমণ কিছু কমে গিয়েছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় নৌবাহিনী চলতি মাসের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন জলদস্যুকে আটক করেছে। বিচারের জন্য তাদের ভারতে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিনমাস ধরে সোমালিয়া জলদস্যুতার ইস্যু নিয়ে রীতিমতো সংগ্রাম করছে। কারণ এই দস্যুরা আল শাবাব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে কাজ করছে। সোমালিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ দিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে আল শাবাব।

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে গ্যারোই অনলাইন জানিয়েছে, এখন জলদস্যুদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভীষণ তৎপর দেশটির পুলিশ বাহিনী। বিশেষ করে পান্টল্যান্ড উপকূলজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এ কাজে সাহায্য করছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও।

পান্টল্যান্ডের এক পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারোই’কে বলেন, জলদস্যুদের চাহিদামতো মুক্তিপণ দেওয়া হলে তা নতুন আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে মুক্তি দিয়েছে সোমালি জলদস্যুরা। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছিল। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ মুক্তিপণের অঙ্কের বিষয়ে কোনও তথ্য স্পষ্ট করেনি।

মুক্তির খবর শুনেই কেঁদে ফেলেন নাবিকেরা, পরিবারে খুশির ঈদমুক্তির খবর শুনেই কেঁদে ফেলেন নাবিকেরা, পরিবারে খুশির ঈদ।

এর আগে, কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে সোমালি জলদস্যুরা ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ পাওয়ার পর এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারাও এমন তথ্য জানিয়েছেন।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। সোমালিয়া উপকূল পাড়ি দেওয়ার সময় ১২ মার্চ দস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।

এরপর নাবিকদের নিরাপদ এবং অক্ষত অবস্থায় ছাড়িয়ে নিতে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ দেনদরবার শুরু করে। ৩১ দিন ধরে দরকষাকষির পর ৩২তম দিনে নাবিকরা মুক্তি পেল।

ট্যাগস :

মুক্তিপণ নিয়ে তীরে এসেই গ্রেপ্তার ৮ জলদস্যু

আপডেট সময় : ০৮:৫২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

মুক্তিপণের বিনিময়ে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ছেড়ে যাওয়ার পরপরই আট সোমালি জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমালিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির অনলাইন সংবাদ মাধ্যম গ্যারোই অনলাইন।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জলদস্যুদের সঙ্গে আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পান্টল্যান্ড পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গ্যারোই অনলাইন বলছে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে আসার পরপরই আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে কিনা, সে তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুন্টল্যান্ড পুলিশ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে বলেন, এভাবে মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ উদ্ধার চলতে থাকলে জলদস্যুরা আরও উৎসাহিত হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সোমালি উপকূলে জলদস্যু আক্রমণ কিছু কমে গিয়েছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় নৌবাহিনী চলতি মাসের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন জলদস্যুকে আটক করেছে। বিচারের জন্য তাদের ভারতে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিনমাস ধরে সোমালিয়া জলদস্যুতার ইস্যু নিয়ে রীতিমতো সংগ্রাম করছে। কারণ এই দস্যুরা আল শাবাব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে কাজ করছে। সোমালিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ দিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে আল শাবাব।

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে গ্যারোই অনলাইন জানিয়েছে, এখন জলদস্যুদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভীষণ তৎপর দেশটির পুলিশ বাহিনী। বিশেষ করে পান্টল্যান্ড উপকূলজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এ কাজে সাহায্য করছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও।

পান্টল্যান্ডের এক পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারোই’কে বলেন, জলদস্যুদের চাহিদামতো মুক্তিপণ দেওয়া হলে তা নতুন আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে মুক্তি দিয়েছে সোমালি জলদস্যুরা। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছিল। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ মুক্তিপণের অঙ্কের বিষয়ে কোনও তথ্য স্পষ্ট করেনি।

মুক্তির খবর শুনেই কেঁদে ফেলেন নাবিকেরা, পরিবারে খুশির ঈদমুক্তির খবর শুনেই কেঁদে ফেলেন নাবিকেরা, পরিবারে খুশির ঈদ।

এর আগে, কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে সোমালি জলদস্যুরা ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ পাওয়ার পর এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারাও এমন তথ্য জানিয়েছেন।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। সোমালিয়া উপকূল পাড়ি দেওয়ার সময় ১২ মার্চ দস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।

এরপর নাবিকদের নিরাপদ এবং অক্ষত অবস্থায় ছাড়িয়ে নিতে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ দেনদরবার শুরু করে। ৩১ দিন ধরে দরকষাকষির পর ৩২তম দিনে নাবিকরা মুক্তি পেল।